বেশি বয়সে বিয়ের অপকারিতা(Late marriage demerits)
মানব জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে বিয়ে। কিন্তু আমরা বিয়ের বিষয়ে অনেকে উদাসীন। বিশেষ করে আমরা বিয়ে নিয়ে বেশি চিন্তা করি না। কারণ বিয়ে বলতে আমরা শুধু মনে করি যে একে অপরের শারীরিক সুখ। কিন্তু আগের দিনের লোকেরা মনে করতে যে বিয়ে মানে হচ্ছে একসাথে সারা জীবন মৃত্যু পর্যন্ত সংসার করা। ফলে তারা আগে আগেই বিয়ে করত এবং বিয়ের সঠিক সফলতা পেত।
কিন্তু বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে তাদের অভিভাবকেরা সন্তানদের বিয়ে করাতে চায় না। তারা মনে করে বিয়ে করলে অনেক অশান্তি হয় বিশেষ করে পারিবারিক অশান্তি, স্বাধীনতার অশান্তি ,অর্থনৈতিক অশান্তি ,ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা ইত্যাদি।
অপরদিকে ছেলেমেয়েরা মনে করে কম বয়সে বিয়ে করলে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেনা।
বেশি বয়সে বিয়ে করার অপকারিতার দিকগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
১. শারীরিক সক্ষমতা কমে যায়
২. গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়
৩. সন্তান ছোট রেখেই পিতা-মাতা মারা যায়
৪. বেশি বয়সের মেয়েদের তাড়াতাড়ি মাসিক বন্ধ হয়ে যায়
৬. বেশি বয়সের ছেলেদের তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়
৭. উভয়েরই অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যেতে পারে
৮. বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে মায়ের মৃত্যু হতে পারে
৯. চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়
১০. বৃদ্ধ বয়সে পরিবারের বোঝা নিজের কাঁধে টানতে হয়।
১১. বেশি বয়সে বিয়ে হলে তাড়াতাড়ি ডিভোর্স হয়
১২. যৌথ ফ্যামিলির পারিবারিক শান্তি পাওয়া যায় না।