হঠাৎ শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় (Suddenly Children Cold)

ঠান্ডা একটি জটিল বিষয় প্রত্যেক শিশুদের জন্য । বিশেষ করে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে শিশুদের ঠান্ডা লাগে। কিন্তু আমরা ঠান্ডাকে গুরুত্বপূর্ণ দেই না। অনেক সময় ঠান্ডা হতে নিউমোনিয়া রোগের সৃষ্টি হয়।



২থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের যখন ঠান্ডা লাগে তখন শ্বাসের গতি ৫০ বা বেশি হলে সাধারণ নিউমোনিয়া ।



১২ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ৪০ বা বেশি হলে বা‌ড়িতে চিকিৎসা নিন  কারণ এটি সাধারণ নিউমোনিয়া ।


এসব সাধারণ সালবিউটামল সিরাপ খাওয়াতে পারেন।


 


তবে শ্বাসের গতি ৬০ বা তার বেশি হলে বিশেষ করে বুকের নীচের অংশ দেবে আছে এরকম হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।


শিশু যদি ঔষুধ খাওয়ানোর আধা ঘন্টার মধ্যে বমি করে ফেলে দেয় তাহলে আবার শিশুকে ঔষুধ খাওয়াতে হবে।


 নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা ৫ দিনের

দুইদিন পর শিশুকে পুনরায় পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসতে হবে

শিশুর অবস্থার উন্নতি হলেও পুরো পাঁচ দিন ঔষুধ খাওয়াতে হবে


শিশুর অবস্থার উন্নতি না হলে অথবা অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।


নিউমোনিয়া নয় সাধারণ সর্দি কাশি শিশুর বাড়িতে যত্ন:


যে শিশুটির কাশি অথবা শ্বাস কষ্ট আছে কিন্তু বয়স অনুযায়ী দ্রুত শ্বাস নেই অথবা বুকের নিচের অংশ দেবে যাওয়া নেই তার নিউমোনিয়া নেই।

১. অসুস্থ অবস্থায় শিশুর স্বাভাবিক খাবার চালু রাখতে হবে। শিশু যদি মায়ের বুকের দুধ খায় তবে অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

২. বাড়িতে যে সকল তরল জাতীয় খাবার আছে তা শিশু যে পরিমাণ খেতে পারে, দিতে হবে। কাশি উপশমে এই তরল খাবার কাজ করবে।

৩. কাশি উপশমের জন্য শিশুকে হালকা গরম চিনি পানি ,আদা ,লেবুর রস ,তুলসী পাতার রস চা ইত্যাদি দিতে হবে।

 ৪.অসুস্থ শিশুর নাক বন্ধ থাকলে খাবার খেতে কষ্ট হয় তাই পরিষ্কার শুকনো নরম কাপড় দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে হবে।

৫. পাঁচ দিনের মধ্যে কাশি না কমলে পুনরায় শিশুকে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র এ নিতে হবে।

৬. নিচের চিহ্ন গুলো যেকোনোটি দেখা দিলে দুর্দশাস্ত কেন্দ্রীয় নিয়ে যেতে হবে

-পান করতে পারেনা


-অবস্থার অবনতি হলে



-দ্রুত শ্বাস 



-বুকের নিচে অংশ দেবে যাওয়া।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url