টিকা (vaccination)
টিকা অর্থাৎ ভ্যাকসিন বর্তমান যুগে বেঁচে থাকার জন্য খুবই অপরিহার্য। ভ্যাকসিন আমাদের শরীরের চিকিৎসা করতে পারে না বরং তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু আমরা ভ্যাকসিন বিষয়ে খুবই উদাসীন। আমরা নিয়মিত ভ্যাকসিন নিতে চাই না। তাছাড়া সমাজে অনেক প্রচলিত ভুল রয়েছে। রয়েছে নানা রকম কুসংস্কার। নানা রকম অন্ধ বিশ্বাস।
একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই তার টিকা শুরু হয় এবং এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত তার এই ভ্যাকসিন নিতে হতে পারে। যদিও বর্তমানে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে জন্মের পর থেকে তবুও কিছু কিছু শিশু ভ্যাকসিন হতে বঞ্চিত হচ্ছে যা আমাদের মোটে ওকাম্য নয়।
কিছু কিছু পিতা মাতার ভ্যাকসিন সম্পর্কে অন্ধ বিশ্বাস রয়েছে। তারা মনে করে এই সামান্য ভ্যাকসিন দিয়ে কি লাভ হবে। আমার দেখা মতে একজন উচ্চ শিক্ষিত ছেলে তার সন্তানকে ভ্যাকসিন দেয়নি। ফলে সে টিবি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এটা কি তার পিতার দোষ নাকি সন্তানের দোষ ভাবতে আমার কষ্ট হয়। তাই আমাদের প্রত্যেক পিতা-মাতার উচিত সন্তানকে সঠিক সময়ে টিকা দেওয়া।
এক গর্ভবতী মা আসলো আমার কাছে সে বলল তারা স্বামী তাকে টিটি টিকা নিতে দেয় না এমনকি সে পর্দাশীল থাকার কারণে টিটি টিকা নিতে পারেনি এমনকি তার ফ্যামিলি ও টিটি টিকা নিতে দেয়নি। এর ফলে সে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। ঐ মায়ের গর্ভকালীন ঝুঁকি বেড়ে গেছে টিটি টিকা না নেয়ার ফলে এমন কি গর্বের সন্তান মৃত বা প্রতিবন্ধীও হতে পারে।
তাই আমাদের সবার উচিত শিশুদের জন্য ইপিআই সেশন এবং মায়েদের জন্য টিটি টিকা বাধ্যতামূলক করা উচিত।
তাছাড়া আমাদের অনেক সময় ভ্যাকসিন নিতে হয় বিশেষ করে করোনার সময় ভ্যাকসিন নিতে হয়েছিল কিন্তু আমরা অনেকে ভ্যাকসিন নেইনি ।ভ্যাকসিন সম্পর্কে রয়েছে আমাদের ভুল ধারণা ।ভ্যাকসিন কারো জীবনের জন্য হুমকি নয় বরং ভ্যাকসিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে ।
তাই আমাদের সবসময় উচিত
টিকা নেওয়া।
তাছাড়া আমাদের মায়েদের বিশেষ করে ১০ থেকে ৬০ বছর বয়সী মেয়েদের জরায়ুর টিকা নিতে উৎসাহিত করতে হবে। যাতে করে তারা ক্যান্সার হতে মুক্ত হতে পারে।
তাই আমাদের সবাইকে উচিত সঠিক সময়ে ও সময়মতো ও সঠিকভাবে প্রতিটি টিকার খোঁজ সম্পন্ন করা।