গর্ভকালীন বিপদজনক লক্ষণ (Dangerous Signs of Pregnancy)

 একটি শিশু সুস্থ থাকা আর না থাকা নির্ভর করে তার মায়ের সুস্থতার উপর। তাই গর্ভকালীন সময়ে বিপদজনক চিহ্নগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং তা সমাধানের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিচের চিহ্নগুলো প্রকাশ পেলে দেরি না করে হাসপাতালে যেতে হবে।





১. চোখের নিচের পাতা বা ভিতরে সাদা অংশ বা হাতের তালু ু ফ্যাকাসে হয়ে গেলে। সব সময় ক্লান্তি অনুভব করলে এবং ঘন ঘন শ্বাস নিলে। এগুলো হচ্ছে মারাত্মক রক্তস্বল্পতার চিহ্ন।



২. গর্ভকালীন সময়ে ব্যাথাহীন বা ব্যথাসহ কোন রক্ত স্রাব শুরু হলে।



৩. উচ্চ রক্তচাপ ১৪০ ও ৯০ মিলি মিটার মার্কারি এর সমান বা বেশি হলে



৪. অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে, ঝাপসা দেখলে



৫. পা ,গোড়ালি ,পায়ের পাতা ফুলে গেলে


 

৬. খিচুনি হলে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে



৭. চোখ হলুদ হয়ে গেলে এবং প্রসাবের রং গাঢ় হয়ে গেলে


৮. মাত্র ায় অতিরিক্ত বমি করলে





৯. প্রচন্ড জ্বর অর্থাৎ 104° ফারেনহাইটের এর উপরে গেলে


১০. তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা করলে



১১. পর্যাপ্ত মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি না পেলে



১২. তারিখের তিন সপ্তাহ বা তার আগে পানি ভেঙ্গে গেলে অর্থাৎ গর্ভকালের ৩৭ সপ্তাহ আগে



১৩.প্রসববেদনার সময় মাথার পরিবর্তে শিশুর অন্য কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যোনিপথে বের হইয়া আসলে


১৪. এ সময় গর্ভবতী মহিলাদের চেকআপ করাতে হবে যথাক্রমে চার সপ্তাহ ,ছয় সপ্তাহ, ৮ সপ্তাহ ওনয় সপ্তাহে।



১৫. বাচ্চা রঙ্গগুলোর দেখার জন্য অ্যাবনরমাল স্ক্যান করাতে হবে ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহে।



১৬. গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি পাবে টোটাল ১১ কেজি। প্রথম ছয় মাস  ওজন বৃদ্ধি পাবে১ কেজি করে এবং পরের তিনমাসর ওজন বৃদ্ধি পাবে ২ কেজি করে।


১৭. অবশ্যই  টিটি টিকা দিতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url